সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিক্ষোভ সমাবেশের নামে আাগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গণ্ডগোল পাকানোর উস্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘২৪ তারিখ আমাদের জাতীয় সম্মেলন, সেদিন কেন প্রোগ্রাম দিয়েছে তারা? সেদিন কেন তাদের কর্মসূচি আমি জানতে চাই। প্রত্যাহার করুন। সংঘাতের উষ্কানি দেবেন না।’
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বিকালে পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্যমেলা মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ট্রাকমঞ্চ করে নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গণ্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুই মাস আগে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। একই দিনে বিএনপির কর্মসূচির অর্থ সংঘাতের উষ্কানি দেওয়া। বিএনপি ১০ তারিখে ব্যর্থ হয়ে এখন ২৪ তারিখে গণ্ডগোল করার ষড়যন্ত্র করছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকবেন। বিএনপি জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বুঝে না। অনেক ছাড় দিয়েছি, এবার ছেড়ে দেবো না। প্রস্তুত হয়ে যান, এবার ছেড়ে দেবেন না। এরা ক্ষমতা ফিরে পেতে পাগল হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনও আমদানি করার জন্য পাঁচ মাসের রিজার্ভ আছে। রপ্তানি আয় বাড়ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালীন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। বর্তমানে বিশ্ব সংকটেও আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই। এখন বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। পাড়া মহল্লায় কেউ বিএনপি বলে পরিচয় দেয় না। কারণ তারা জানে, বিএনপির কথায় কাজে মিল নেই। বিএনপি নেতাদের কোনো খবর নেই, কর্মীদের মনে বল নেই। বিএনপি এখন নদীতে পড়ে গেছে, সেখান থেকে উঠে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য একদিনও বিশ্বকাপের খেলা দেখতে কারও সমস্যা হয়নি। কেউ বলতে পারবে না এমনটা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের আওতাভুক্ত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে মিছিলসহ জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াত বিরোধী নানা স্লোগান দেয়।