সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরীর সভাপতি মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তাদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা যে খাবার খাব শ্রমিকদেরও সেই খাবার খেতে দিব, একমাত্র ইসলামি পারে এদেশের ন্যায়বিচার ও ন্যায্য অধিকারে রাষ্ট্র কায়েম করতে। তিনি বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া দুঃখী অনাহারি মানুষের ভাগ্যের বদল হবে না। তাই ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম করতে হবে। এই নীতিতে শ্রমিক মালিক দ্বন্দ্ব নয়, শক্রতা নয়। তিনি আরও বলেন, যারা দ্বীন কায়েম করেছেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমজীবী মানুষ যেদিকে যায়, সেদিকেই সফলতা আসে। শ্রমজীবী মানুষেরা খুবই সহজ-সরল। পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানে পরিবর্তন এসেছে, সেখানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অপরিসীম। শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রবিবার নগরীর খালিশপুরের স্থায়ী কার্যালয়ে খালিশপুর থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
খালিশপুর থানা সভাপতি বদরুর রশিদ মিন্টু এর সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খালিশপুর থানার প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল আওয়াল, মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান, সহ সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও বুলবুল কবির। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম, গাজী দেলোয়ার হোসেন, নাসিরুদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম বিল্লব, মোখলেছুর রহমান, মহিবুর রসুল, এইচ এম আসাদ, আব্দুর রহমান, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ রুবেল, কামরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আবু সাঈদ, মো. বেবি জামান, ফারুক হাওলাদার, রকিবুল ইসলাম, তানভীর হোসাইন, জাহাঙ্গীর হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
২০২৫-২৬ সেশনের জন্য সম্মেলনে জাহিদুল ইসলামকে সভাপতি এবং সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে খালিশপুর থানার ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং শ্রমনীতির সংগ্রাম এক ও অভিন্ন। ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। ছাত্র আন্দোলন যেমন একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে তেমনি শ্রমিকদের এই বিশাল বিপ্লবী আন্দোলন আরেকটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিতে পারে। সেই বাংলাদেশী জামায়াতে ইসলাম একটি নতুন কল্যাণময়ী রাষ্ট্র গঠনের বাংলাদেশ হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে। এখন শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশবিরোধী চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, সকল মানুষকে সাথে নিয়ে এই দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।