শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

খুলনায় পিএনজি স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

প্রকাশিত: শুক্রবার, জানুয়ারী ১৭, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ আলোকিত মানুষ গড়ার বিদ্যাপীঠ খুলনার ঐতিহ্যবাহী বয়রা ডাক বিভাগীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় -পিএমজি স্কুলয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল হতে রাত পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসেছিল নবীন আর প্রবীণদের এক মিলনমেলা। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেন বাঁধভাঙ্গা আনন্দ আর উৎসবের সৃষ্টি হয়েছে খুলনার বয়রা পোস্টাল এস্টেটে স্কুল চত্বর।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী, নবীন-প্রবীণের আড্ডায় প্রাণ ফিরে পায় এ আয়োজন। সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান চত্বর হয়ে ওঠে মুখরিত। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য।
বিশাল প্যান্ডেল জুড়ে চলে দিনভর বিভিন্ন ব্যাচের শৈশবের কথা, স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, সংবর্ধনা। ফাঁকে ফাঁকে চলে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সেলফি আর ফটোসেশন। দীর্ঘদিন পর প্রিয় সহপাঠিকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দক্ষিণাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মুহাম্মদ জহিরুল আলম। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক এফ এম হারুন অর রশিদ, শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক সরকারি বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ও উদযাপন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল, স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারজেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম,মো: জাহাঙ্গীর ইসলাম, সদস্য সচিব এস এম বদরুল আলম রয়েল, বিএনপি নেতা শেখ মোস্তফা কামাল, চৌধুরী মুশফিকুর রহমান মেস্কো, মোহাম্মদ ওজিয়ার রহমান মানিক,শহিদুল্লাহ বাবলু, আব্দুল হালিম,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন কাজী আজিজুল হক,শেখ মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান, রনজিত কুমার মন্ডল,শেখ শাহজাহান আলী,মোঃ রহমত কবীর প্রমুখ।
সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসা শিক্ষার্থীদের অনেকেই দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারা প্রথমদিনেই ফিরে যান উচ্ছল তারুণ্যে ভরা দিনগুলোতে। পুরোনো সব বন্ধু আর সহপাঠীকে পরষ্পর জড়িয়ে ধরে আত্মহারা হয়ে হাত হাত ধরে টেনে বুকে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করেন। অনেকে আবার পুরোনো সহপাঠীদের পেয়ে সেলফি তুলতে ব্যাস্ত। কেউ কেউ স্কুল আঙিনায় হেঁটে হেঁটে পুরোনো গাছগুলো খুঁজতে থাকে । যে গাছতলায় বসে সহপাঠীদের নিয়ে আড্ডা দেওয়ার সব স্মৃতিচারণ করে ক্যামেরায় পুরোনো বন্ধুদের সাথে ছবি তুলে ফটোসেশন করেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজারো নবীন প্রবীণের প্রাণোচ্ছল অংশগ্রহনে সবুজে প্রকৃতি আর শীতের সন্ধ্যা যেন আরও চঞ্চল হয়ে ওঠে। সন্ধ্যার পরে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল আর্করের শিল্পী হাসানের মনোমুগ্ধকর সংগীত মুখর হয়ে ওঠে স্কুলমাঠ প্রাঙ্গন। যেন সবার মাঝে আনন্দের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। অনুষ্ঠানে আগত সকলের আপ্যায়ন, তদারকিসহ সব ব্যাবসস্থা নেয় আয়োজক কমিটি। এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তা উৎসবের চারিদিকে।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন