সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ দেশ ও জাতির গর্ব। সমাজের এই ধরনের মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে সেই সমাজ ও জাতির গৌরব ততই বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই নৈতিকতার চর্চা করা উচিত। নৈতিক মূল্যবোধের অভাব হলে সমাজে অশান্তি দেখা দেয়। সামাজিক অসাম্য, অবিচার, সীমাহীন দুর্নীতি ইত্যাদি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সমাজজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে, যার ফলে মানবকল্যাণ ব্যাহত হয়। যুদ্ধগ্রহ, হত্যা, লুন্ঠন ও সন্ত্রাস বেড়ে যায়। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অভাব আছে বলেই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অশান্তি ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় প্রত্যেকের উচিত নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা করা। দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আমাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে। এজন্য সমাজের সকল স্তরে ন্যায়নীতি ও সততা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুষ্ঠু সমাজ গঠনের জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এ কাজের প্রাথমিক দায়িত্ব বাবা-মা বা অভিভাবকের। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে শিশুরা উৎকৃষ্ট ও কল্যাণকর মূল্যবোধ ও নৈতিকতায় বলীয়ান হয়। ধর্মীয় শিক্ষাও নৈতিক চরত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শৈশব থেকেই বাবা-মা বা অভিভাবক তাদের সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা জোরদার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সকল পর্যায়ে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি যাতে মমত্ববোধ জন্মায় তার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে মটিভেশনাল শিক্ষা দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির, হরিদাশকাটি বেগম জালাল বালিকা বিদ্যালয়, উলুডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিঢালী কপিলমুনি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফরকালে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ সব কথা বলেন।