সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

একই ফুটবলারকে একাধিক ক্লাব চাওয়ায় নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত বাফুফের

প্রকাশিত: শনিবার, আগস্ট ১৯, ২০২৩

নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ ছয় লাখ টাকায় বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের পেতে আবেদন করে তিনটি ক্লাব। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের দেওয়া তালিকাটা ছিল সাংঘর্ষিক। অর্থাৎ একই ফুটবলারকে একাধিক ক্লাব চেয়েছে। যে কারণে একাডেমির ফুটবলারদের নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটি। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ আগস্ট রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে একাডেমির ১২ ফুটবলারকে নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ক্যাটাগরি ‘এ’ ও ক্যাটাগরি ‘বি’ তে এসব ফুটবলারকে বিভক্ত করা হবে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ছয় ফুটবলারের ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪ কিংবা সাড়ে ৪ লাখ ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফের অন্যতম সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, ‘আমাদের কাছ থেকে শুরুতে ক্লাবগুলো ৬ লাখ টাকায় ফুটবলারকে পেতে চেয়েছিল। এখন যেহেতু নিলাম, সেহেতু ভিত্তিমূল্য কিছুটা কমিয়ে দিয়েছি। যারা সর্বোচ্চ দাম দিতে পারবে, তারাই প্লেয়ার কিনতে পারবে। নিলামে অংশ নিতে আমরা ক্লাবগুলোকে চিঠি দিয়েছি।’

গত মৌসুমে এলিট একাডেমির ফুটবলারকে নিয়েছিল মোহামেডান। দলবদলের বাজারে ফুটবলার সংকটের কারণে এবার এই একাডেমির ফুটবলারদের দিকে চোখ পড়ে ক্লাবগুলোর। চাহিদা থাকায় তাই নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। তবে যে ক্লাবই ফুটবলারকে নেবে, চুক্তিটি হবে এক মৌসুমের জন্য। অর্থাৎ লিগ খেলে আবার একাডেমিতে ফিরে যাবে ফুটবলাররা। আবার মিরাজুল ইসলামকে যে ক্লাব নেবে, তার সঙ্গে চুক্তিটি হবে শর্তসাপেক্ষে। বিদেশি একটি ক্লাবে খেলার প্রস্তাব এসেছে মিরাজুলের। এজেন্ট যোগাযোগ রাখলেও কোন দেশের ক্লাব, তা এখনও জানে না মানিক, ‘আমাদের মিরাজুলকে বিদেশি একটা ক্লাব চাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তার জন্য আমাদের একটা শর্ত থাকবে। যদি বিদেশি ক্লাবে খেলাটা নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে তাকে ছেড়ে দিতে হবে।’
দেশের ফুটবলে প্রথমবার নিলাম। সেটা সফল হলে তৃণমূলে থাকা খেলোয়াড়দের আগ্রহটা আরও বেড়ে যাবে বলে জানান আতাউর রহমান ভূঁইয়া, ‘যদি এটা সাকসেসভাবে করা যায়, আর মিডিয়া যদি আমাদের এটাকে সুন্দরভাবে নেয়, তাহলে সারাদেশে যাদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ আছে, তাদের আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে। আমাদের একাডেমি ছাড়াও বাংলাদেশে কিন্তু আরও অনেক একাডেমি আছে, যেগুলো বাফুফের অনুমোদনকৃত। তখন ওই একাডেমিগুলোতে আগ্রহী ছেলেরা চেষ্টা করবে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য।’
অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন