সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: শুক্রবার, ডিসেম্বর ২, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনার শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে বিজ্ঞাপিত পদের অর্ধেকই স্থায়ী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী নিয়োগ থেকে।নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রার্থীকে বাড়তি সুযোগ দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও এখানে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় ছাড় দিয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। ২৬ পদের মধ্যে ১২টি পদে স্থায়ী করা হয়েছে অস্থায়ী থেকে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, খুলনা অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের জোর দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর খুলনায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি দেন। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মহান জাতীয় সংসদে ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা-২০২০’ পাস হয়। ওই বছরের ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ও দুই পরিচালক পদে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ দেয়। তা ছাড়া কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ১৩ জনকে বিভিন্ন পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ৮ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিক বিভিন্ন পদে ২৬ জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চাকরির আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পঞ্চম থেকে দশম গ্রেড কর্মকর্তা পদে ৬০০ টাকা এবং ১১ থেকে ২০তম গ্রেড কর্মচারী পদে ৫০০ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে জমা দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। ২৬টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন দুই হাজার ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী।বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা পড়ে ১২ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ ও ভাইভাসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৫ জনকে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করেছেন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকে অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তদের ১২ জন। তবে উপ-কলেজ রেজিস্ট্রারের একটি পদে কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগে থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে স্থায়ী হয়েছেন পিএস টু ভিসি একজন, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা একজন, সেকশন অফিসার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিসার সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট দুইজন, ড্রাইভার একজন ও অফিস সহায়ক তিনজন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বা অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রার্থীর যোগ্যতা শিথিলের সুযোগ নেই। এসব ক্ষেত্রে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ সদস্যের নিরপেক্ষ পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্যও ছিলেন। তবে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্থায়ী কর্মচারীদের কেউ কেউ আবেদনের ক্ষেত্রে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন।এমন সুযোগের বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় প্রথম ও শেষবারের সিদ্ধান্ত বলে নোট দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো নিয়োগে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।’