বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মিথ্যাচার করে জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়- মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: শুক্রবার, আগস্ট ১৮, ২০২৩

নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ মিথ্যাচার করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই কথাও ভুলতে পারি না, শেখ মুজিবুর রহমানের মরদেহ তাঁর বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে ছিল, আর আওয়ামী লীগের নেতারা সরকার গঠন করেছিলেন। তারা আজকে মিথ্যা প্রচার চালায়, এখানে জিয়াউর রহমান সাহেব জড়িত ছিলেন। তাদের একটাই উদ্দেশ্য জিয়াউর রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তাকে একেবারে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা। সেটা সম্ভব নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কত বছর হয়ে গেল জিয়াউর রহমানের নাম কি মুছে ফেলতে পেরেছে? পারে নাই, পারে না। ক্ষণজন্মা মানুষ ইতিহাস তৈরি করে। যারা একটি রাষ্ট্রের জন্মের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে, যারা জনগণের কল্যাণের জন্য একটি রাষ্ট্র নির্মাণের সব ভিত্তি তৈরি করে, তাদের এভাবে মুছে ফেলা যায় না, ভুলিয়ে দেওয়া যায় না।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এখন ওরা এমন সব অলিক গল্প বলে যে, শহীদ জিয়াউর রহমান প্রয়াত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা হচ্ছে শুধু ইতিহাসকে বিকৃত করা। জনগণের গণতন্ত্র ফেরাতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনকে বিপথে পরিচালিত করা। তখন তো বিএনপির জন্মই হয়নি। শহীদ জিয়াউর রহমান তখন সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন না। তিনি ছিলেন ডেপুটি প্রধান। যে সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন, অর্থাৎ সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান–তারা সবাই ওই দুর্ঘটনার পরে স্যালুট করে খন্দকার মোশতাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশটাকে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে এককথায় দুঃশাসনের রাজ্য তৈরি করেছিল। তারা তাদের মতো করে এদেশকে একটা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছিল। একের পর এক তাদের নিজেদের তৈরি সংবিধান ভেঙে-চুরে জরুরি অবস্থা, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সর্বশেষে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যদিকে তিনি (জিয়াউর রহমান) তাঁর মেধা, দক্ষতা, সততা দিয়ে সাড়ে তিন বছরেরর মধ্যে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ তৈরি করেছিলেন।’

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন