বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: সোমবার, আগস্ট ১৪, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টারঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরে তার অসিয়ত অনুযায়ি দাফনের জন্য খুলনার বসুপাড়ায় দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে তার মরদেহ মাদ্রাসায় আনা এবং অসিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে দাফনের বিষয়ে আলোচনা হয়। জীবদ্দশায় সাঈদীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য এই মাদ্রাসায় নির্ধারিত স্থান রয়েছে।
দারুল কোরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জীবদ্দশায় সাঈদী ও তার স্ত্রীর করে যাওয়া অসিয়ত অনুযায়ী মরদেহ দাফনের জন্য খুলনার এই মাদ্রাসায় নির্ধারিত স্থান রয়েছে। তাই মৃত্যুর খবর পেয়ে মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে মাদ্রাসায় জরুরি বৈঠক করা হয়েছে।’
সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু হয়।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকালে তিনি কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন সাঈদী। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথা নিয়ে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তরের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন জামায়াত ইসলামীর এই সাবেক নায়েবে আমির।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ আসে। ওই রায় রিভিউ আবেদন করলেও আগের সাজা বহাল রাখেন কারাগার।