সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: রবিবার, আগস্ট ২০, ২০২৩
নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক বহাল থাকবে। ভারতের রপ্তানিতে শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, শুল্ক আরোপ করলে দেশটিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের আমদানি খরচ বাড়বে এবং খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাবে।
শনিবার ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তবে ঠিক কবে থেকে তা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট না করলেও অবিলম্বে কার্যকর হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক বহাল থাকবে।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণের কাছাকাছি হয়ে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে উঠতে পারে।
বাংলাদেশে এবার ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তবে দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও চাহিদা মেটাতে প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এর ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
কোনো কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। মাস দুয়েক আগেও এ চিত্র দেখেছেন ভোক্তারা। দেশের কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছিল। তাতে গত মে মাসে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
এরপর জুনের শুরুতে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর কিছুটা কমে আসে। সম্প্রতি আবারও দাম বেড়ে যায়। শনিবার রাজধানীর বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৯০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ভারত থেকে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজ আমদানি হয়। রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করলে দেশটির ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়াবে। তাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। আর এর প্রভাব পড়বে খুচরা বাজারে; অর্থাৎ বাংলাদেশেও দাম বেড়ে যাবে।