সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে বাপা’র প্রচার কর্মসূচি

প্রকাশিত: শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ ১ নভেম্বর থেকে সর্বত্রে বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিরালা সবজি ও মাছ বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে আইন সম্বলিত প্রচার পত্র বিলি ও প্রচারনা কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাবুল হাওলাদার এ প্রচার পত্র বিলি ও প্রচারনা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাপা’র সদস্য যথাক্রমে শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, উন্নয়ন সংগঠক শেখ মফিদুল ইসলাম, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি নাগরিক নেতা এস এম দেলোয়ার হোসেন, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, খুলনাঞ্চল পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক মোসলেউদ্দিন তুহিন, কবি ও উন্নয়ন সংগঠক নাজমুল তারেক তুষার, খ ম শাহিন হোসেন, নাহিয়ান ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফারজানা নাহার, রৌদ্র ছায়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি মীর মোহাম্মদ কবির হোসেন, সাবরিনা স্বর্ণা, মদিনা মনোয়ারা, মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ জামাল হোসেন, সাংবাদিক শাহীন হাওলাদার, মরিয়ম ইয়াসমিন, মোঃ ইলিয়াস হোসেন, কাজী জোবায়ের আলম, শাকিরুন তাহা প্রমুখ।
এসময়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত, জীবন বিধ্বংসী পলিথিন শপিং ব্যাগ বর্জন করুন, পরিবেশ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করুন, জীবন বাঁচান। নেতৃবৃন্দ এসময়ে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫( সংশোধিত ২০০২) মোতাবেক নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের জন্য ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১০ লক্ষ্য টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত, বাজার জাত করার জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। নেতৃবৃন্দ এসময়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ এসময়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষতিকর পলিথিনের উপাদান মানব দেহে প্রবেশের ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস ও কিডনি জনিত রোগের উপক্রম ঘটে।এতে ফ্যালেটসের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা শ্বাসকষ্ট, প্রজনন সমস্যা ও ক্যান্সারের মতো স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করে।এ ব্যাগ গুলো পোড়ালে ডাইঅক্সিন ও ফুরানের মতো অত্যন্ত বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হয়।যা বায়ু দূষণের মাধ্যমে মানুষের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।মাঞো প্লাস্টিক যে কোন উভচর প্রাণীর পরিপাকতন্ত্র কে বিনষ্ট করে দেয়।গরু ও হাতির মতো বড় বড় প্রাণিদের পাকস্থলী ও এর কারনে কার্যকারিতা হারায়। পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনে প্রয়োজন হয় প্রচুর জীবাশ্ম জ্বালানি। অপরদিকে নির্গত হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড ও মিথনের মতো গ্রীন হাউস গ্যাস। সর্বোপরি পরিবেশের ক্ষতি অপূরণীয়, যার মধ্যে রয়েছে মাটি, পানি, বাতাস। কৃষি ও মৎস্য ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব মারাত্মক। নদী,খাল জলাশয় ভরাট, দূষণ এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে এর প্রভাব অপূরণীয়। নেতৃবৃন্দ বলেন বিকল্প হিসেবে কাপড়, পাটের ব্যাগ,তুলা, ছন প্রভৃতি দ্বারা তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান। এবং সিঙ্গেল ইউজড পলিথিন শপিং ব্যাগ চিরতরে বর্জনের আহ্বান জানান।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন