মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: শুক্রবার, জানুয়ারী ১২, ২০২৪
নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পর্যায়ক্রমে শপথ নেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
শপথ গ্রহণের পর দপ্তর বণ্টন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রকাশিত গেজেট থেকে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিজের কাছেই রাখেন সরকারপ্রধান। আগের দপ্তরই পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক; সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এবারের মন্ত্রিসভায় অর্থ, পরিকল্পনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব বণ্টনে চমক দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব, যিনি একসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একেবারেই নতুন দায়িত্ব পাওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবদুস সালামকে সামলাতে হবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে এসেছে সবচেয়ে বড় চমকটি। সদ্য বিদায়ী সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদকে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মুহাম্মদ ফারুক খান; সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ডা. দীপু মনি; খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার; ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ফরিদুল হক খান; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী; ভূমি মন্ত্রণালয়ে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আব্দুর রহমান; কৃষি মন্ত্রণালয়ে মো. আব্দুস শহীদ; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট); স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট); রেলপথ মন্ত্রণালয়ে মো. জিল্লুল হাকিম; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নাজমুল হাসান পাপন; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
সে হিসেবে নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রণালয় পরিবর্তন হয়নি ১১ মন্ত্রীর। যদিও ফরিদুল হক খান ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ও ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আর মহিবুল হাসান চৌধুরী উপমন্ত্রী থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরই পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ বিভাগে; খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে; জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে, জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়েই বহাল রয়েছেন। পলক কেবল বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পেয়েছেন। মন্ত্রিসভায় নতুন হিসেবে সিমিন হোসেন রিমিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোহাম্মদ এ আরাফাতকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরীকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, রুমানা আলীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলাম টিটুকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নতুন মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সদস্য ঢাকা বিভাগের, প্রধানমন্ত্রীসহ ১৫ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের নয়, সিলেট বিভাগের তিন, বরিশাল বিভাগের দুই, খুলনা বিভাগের দুই, ময়মনসিংহ বিভাগের দুই, রাজশাহী বিভাগের দুই ও রংপুর বিভাগের দুজন স্থান পেয়েছেন।