বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রকাশিত: শনিবার, আগস্ট ৩০, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শনিবার ‘জুলাই গণঅভ্যূত্থান: গণমাধ্যম ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বেলা ১১ টায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু,খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করনে খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও কার্য নির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম নুর। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন।
অুনষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যূত্থান আগামী প্রজন্মের কাছে আদর্শ অনুপ্রেরনা হিসেবে থাকবে। আমাদের সন্তানেরা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হয়। আওয়ামী ফ্যাসিজমকে রুখতে কিশোর তরুনরা অদম্য সাহস নিয়ে মোকাবেলা করেছেন। এই আন্দোলনে ১৫০ জন চোখ হারিয়েছে, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, দেড় হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এত ত্যাগ যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য আমাদের সন্তানেরা করেছেন তার কোনো অংশ এখনও পুরণ হয়নি। ১৫ বছর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা স্বৈরশাসন ও কালাকানুনের কবল থেকে দেশের সংষ্কার এখনও হয়নি। আমরা চাইনা আর কোন ফ্যাসিজম এই দেশে জন্ম নিক। এজন্য সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
জুলাই অভ্যূত্থানে সাংবাদিকদের ভুমিকার বিষয়ে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার যখনই জনগণের ওপর অস্ত্র তাক করেছে গণমাধ্যমের কলম তখন গর্জে উঠেছে। যখন আন্দোলন দমাতে সরকার দেশের ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে তখনও সাংবাদিকরা বিকল্প ব্যবস্থায় কাজ করেছে। এমনকি বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিকরা দেশের অবস্থা বিশ্ব গণমাধ্যমে তুলে ধরে। একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। যে কারণে দেশে রাজনৈতিক বয়ান তৈরিও করে সংবাদমাধ্যম। যার কারণে রাজনীতিবিদরা সংশোধন করে নেন নিজেদের। অন্যদিকে যারা সংশোধন করতে পারে না তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষেপিত হয়। যেমনটা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষেত্রে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ দিদারুল আলম, শহীদ শেখ মো: সাকিব রায়হানের গর্বিত মা নুরুন নাহার বেগম, এমইউজের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হিমালয়, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ রকিবুল ইসলাম মতি, বি এফ ইউজের সহকারি মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেইউজের সদস্য কৌশিক দে, খুলনা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম নুর।
অনুষ্ঠানের শেষে জুলাই আন্দোলনে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন খুলনা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।