শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সাময়িক প্রত্যাহার

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের (শিক্ষানবিশ) কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চলমান আন্দোলনের চতুর্থ দিনে এ কর্মসূচি প্রত্যাহার হলো। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিন দফা দাবিতে মেডিকেল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলমান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টায় খুমেক শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামিসহ ইতোমধ্যেই দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। অনতিবিলম্বে বাকি আসামিদের এবং অজ্ঞাতনামা প্রায় ৫০ জন আসামিকেও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা হবে।

এতে আরও জানানো হয়, চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা একাত্মা পোষণ করে তাদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবিগুলোও দ্রুততম সময়ে পূরণ হবে এই প্রত্যাশা রেখে জনদুর্ভোগ নিরসনে ও রোগীদের কল্যাণার্থে কর্মবিরতি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, (১৪ আগস্ট) সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী কিছু ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ছয় টাকার ওষুধ ৩০ টাকা নিয়েছে দোকানদার। সবুজ সরকার নামের ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী ওষুধের বেশি দাম নেওয়ার কারণ জানতে চান। কিন্তু দোকানদার সঠিক উত্তর না দিলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। ওষুধের দাম বেশি রাখা হয় এমন মন্তব্য করে কেন ওষুধের দাম কম রাখা হবে না এজন্য চাপ দেওয়া হয়।

একপর্যায়ে আশপাশের ওষুধের দোকানদাররা এগিয়ে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় ওষুধ ব্যবসায়ীরা এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২২ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন