সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: রবিবার, অক্টোবর ৮, ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন রবিবার সকালে খুলনার খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, শিশুর পুষ্টি ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবীবাহিত রোগ-ব্যাধি। তাই শিশুসহ সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃমিনাশক ট্যাবলেট নিরাপদ এবং এটি শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তিনি আরও বলেন, শিশুদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বর্তমান সরকার যথেষ্ট সচেতন। এ সরকারের আমলেই গর্ভবতী মায়ের জন্য ভাতা চালু হয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রচেষ্টায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল হবে বলে তিনি আশা করেন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ নাজমুর রহমান সজিব প্রমুখ। এসময় কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল এবং কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় বছরে দুইবার কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন করা হয়। সপ্তাহ চলাকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫-১৬ বছরের সকল শিক্ষার্থী এবং স্কুল বহির্ভূত শিশু, পথশিশু, ঝরেপড়া ও শ্রমজীবী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট (এ্যালবেন্ডাজল ৪০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানো হবে।
উল্লেখ্য, কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ চলাকালে এবছর খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৪৯ হাজার দুইশত ১১জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া খুলনার দুইটি পৌরসভাসহ জেলার ৯টি উপজেলার দুই হাজার তিনশত তিনটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার তিনশত দুইজন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।