সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিআরটি প্রকল্পের উত্তরা-টঙ্গী অংশের দুই লেনের দুয়ার খুলল

প্রকাশিত: বুধবার, নভেম্বর ৯, ২০২২

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা পর্যন্ত অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটি প্রকল্পের এই একাংশ উদ্বোধন করেন।

এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ অনেক কমবে। এতে ফ্লাইওভারের বাকি কাজও বেগবান হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু সমালোচনা করতে জানে। তারা দেশের মানুষের উন্নয়নে দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখাতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু সরকার কাজের মাধ্যমে সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মে থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহে বিআরটি প্রকল্পটি উদ্বোধন হবে। আর আগামীকাল একসঙ্গে ১০০টি ব্রিজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র আজমত উল্লাহ খান।
রাজধানীর সঙ্গে গাজীপুরের যোগাযোগব্যবস্থা দ্রুতগতির করতে ২০১২ সালে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। প্রকল্পটির আওতায় ২০.২ কিলোমিটার পথের মধ্যে উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার উড়াল সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো আজ। এই পথে বিশেষায়িত যান চলাচলের পরিকল্পনা থাকলেও প্রাথমিকভাবে তা হচ্ছে না। সাড়ে চার কিলোমিটার এই পথে সব ধরনের যান চলাচল করবে।

মূলত ঢাকা-গাজীপুর সড়কের যানজট কমাতে উদ্যোগটি নেওয়া হয়। তবে এই পথে শুধু ঢাকামুখী যান চলাচল করবে। টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে যেকোনো গাড়ি উত্তরার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত আসতে পারবে। রাজধানী থেকে যেতে পারবে না।
২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুই হাজার ৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে প্রথম দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পরে আবারও ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ওই বাড়তি মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় আবার সময় বাড়ানো হয় চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। এ সময়ে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও কাজ শেষ হয়নি।
রাজধানীতে এটিই প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধ্যবর্তী উভয় পাশের একটি করে লেন শুধু বিআরটি বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। বিআরটি লেনের পাশাপাশি করিডরটিতে উভয় দিকে দুটি করে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক হালকা যান চলার পথ, একটি করে অযান্ত্রিক যান চলাচলের পথ (সার্ভিস লেন) এবং উভয় পাশে ফুটপাত থাকছে।

প্রকল্পে উড়ালপথে (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) থাকবে ছয়টি স্টেশন এবং ১০ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু। এই ১০ লেনের মধ্যে এখনো পাঁচ লেনের কাজ শুরু হয়নি।

নাগরিক সংবাদ/এমএন

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন