সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ফিফা) বরাদ্দকৃত অর্থের তদন্তের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল

প্রকাশিত: রবিবার, জুলাই ৯, ২০২৩

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ফিফা) বরাদ্দকৃত অর্থের তদন্তের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। রোববার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। যদিও সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে বিকৃত করে কোন কোন গণমাধ্যম প্রচারণা চালানোর ফলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এ বিষয়ে আব্দুস সালাম মূর্শেদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ‘ফিফার তদন্তে কোনো দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। ব্যাপারটি অলরেডি ক্লোজ। ফিফা যেসব দেশকে ফান্ড দেয়, সেব দেশে তাদের একমাত্র অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের ওপর চেম্বার জজ স্থিতাবস্থা দিয়েছিলেন। সেই স্থিতাবস্থার মেয়াদ আজকে বাড়িয়েছেন। আর তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে মূল মামলটা নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।’

জানা যায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীসহ আরও কয়েকজনের বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে হাইকোর্টে গত ১৫ মে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ সময় হাইকোর্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং দুদকসহ অন্যান্য সংস্থাকে ফিফা ও সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থের ওপর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ওই সময় থেকেই প্রচার করা হয় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদীসহ বিভিন্নজনের দুর্নীতি অনুসন্ধানে আদেশ প্রদান করেছে হাইকোর্ট। কিন্তু আদতে হাইকোর্ট কোন ব্যাক্তির ওপর দুর্নীতি অনুসন্ধানের কোন আদেশ প্রদান করেনি। মূলত উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে রঙের প্রলেপ দিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুনামহানি করতেই এমন অপপ্রচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুস সালাম মূর্শেদীর আইনজীবী।

আদালত সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করে দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী গত ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। আপিল শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিন তার নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আব্দুস সালাম মূর্শেদী বাফুফের পক্ষে আপিল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে সকল পক্ষের শুনানির পর অভিযোগ অনুসন্ধানে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত।

একই সূত্র জানায়, রোববার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানির পর ফিফার বরাদ্দকৃত অর্থের তদন্তের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বর্ধিত করেন। এই আদেশের ফলে সংশ্লিষ্টরা ফিফার বরাদ্দকৃত অর্থের ওপর কোন সংস্থা তদন্ত করা থেকে বিরত থাকবেন।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন