বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন নাগরিক ঐক্য, ওয়ার্কার্স পর্টি, সংহতি ও জেএসডি খুলনার নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত: শনিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টারঃ দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন নাগরিক ঐক্য, ওয়ার্কার্স পর্টি, সংহতি ও জেএসডি খুলনার নেতৃবৃন্দ।

শনিবার সন্ধ্যায় নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে ৮ দফা দাবি সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে তাদের ৩১ দফা দাবির মধ্যে দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে ৫ টি দাবি সংযোজন করেছেন বলেও জানান নেতৃবৃন্দ। দলিত ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ৮ দফা দাবী অন্তর্ভূতির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি’র খুলনা মহানগর এর সভাপতি লোকমান হাকিম, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কেএম আলীদাদ, নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব মোতাহার রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মনির চৌধুরী সোহেল, সংহতি আন্দোলনের নগর সদস্য সচিব কামরুজ্জামান টুকু ও কাজী আমিনুর রহমান। দলিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে দাবীগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্টান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা।দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা ঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরী এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে দলিতদের জন্য কোটা বরাদ্দ করা। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা বরাদ্দ করা, চাকরি নীতি যুগোপযোগী করা সহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রঙ্গাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০% হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।

স্মারকলিপি প্রদানকালে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক সিলভী হারন, সদস্য ইসরাত আরা হীরা, সালমা জাহান মনি, অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শামীম, মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুন দাশ প্রমুখ।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

আরো পড়ুন