মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: রবিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
খবর বিজ্ঞপ্তিঃ ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশ স্বাধীন হলেও খুলনা একদিন পর স্বাধীন হয়েছিল। যখন সারাদেশ আনন্দে মেতে উঠেছিল সেই সময় ও পাক হানাদার বাহিনী শিরোমনিতে কামান যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ১৭ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউজে আত্মসমার্পনের মধ্যে দিয়ে খুলনা হানাদার মুক্ত হয়। তাই এই দিবসটির গুরুত্ব অনেক। স্বাধীনতা রক্ষা করতে বয়োজ্যেষ্টদের বুদ্ধি ও মেধা কাজে লাগিয়ে যুবদের কাজে লাগাতে হব্। বাঙ্গলীর সংস্কৃতি কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে হবে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনা ও গুনীজন স্মৃতি পরিষদের দিনভর আনন্দ আড্ডায় বক্তারা একথা বলেন।
শনিবার সকাল ১০টা প্রেমকানন প্রাঙ্গণে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ খুলনা ও গুণীজন স্মৃতি পরিষদ এই আয়োজন এই দিবসটি পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ফ্রি মেডিকের ক্যাম্প, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও যুবদের মধ্যে দিনব্যাপী খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুগ্মসচিব (অবঃ) কামরুল হক নাসিম। গোপীকৃষন মুন্ধড়া সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী ও মাসুদ মাহমুদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আযমখান কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ কাতিক চন্দ্র মন্ডল, অধ্যাপক ভার্গব ব্যানার্জী, অধ্যাপক ডাঃ পরিতোষ চৌধুরী, ডাঃ দিদারুল আলম শাহিন, এ্যাডঃ মোমিনুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধ বিনয় সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিমল কুমার দাস, বীরমুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা খান বোরহান উদ্দিন, দেবীপ্রসাদ ঘোষ, বিনয় কুমার সিংহ প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল যুবকদের সাংস্কৃতিক ও সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় সভাপতিত্ব করেন গোপীকৃষন মুদ্ধড়া। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আসাদুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, সিলভী হারুণ, আফরোজা জেসমিন বীথি, এ্যাডঃ কানিজ ফাতেমা, বেতার শিল্পী এস এম মাজেদ জাহাঙ্গীর, ক্রীড়া সংগঠক নাহিদা রহমান, আফরোজা কামাল, শাহিনুর হোসেন, জয় বৈদ্য প্রমুখ।
বক্তর বলেন, ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বেলা দেড়টায় সার্কিট হাউস মাঠে লিখিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিত্র বাহিনীর মেজর জেনারেল দলবীর সিং, ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল মঞ্জুর ও ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার হায়াত খানের বেল্ট ও ব্যাজ খুলে নিয়ে আত্মসমর্পণের প্রমাণাদিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আনুমানিক প্রায় ৩৭০০ জন পাক সেনা আত্মসমর্পণ করেন।