সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: রবিবার, মার্চ ২৬, ২০২৩
নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ দিন শেষে ইফতারের সময় জানান দিতে ছোঁড়া হয় কামানের গোলা। সঙ্গে সঙ্গে পুরো দেশ জুড়ে মসজিদের মাইকে শুরু হয় আযানের ধ্বনি। গোলা ছোঁড়ার আওয়াজে রোজাদাররা মুখে তুলে নেন ইফতার। আর এই কামানের গোলা ছোঁড়া দেখতে কাতারের সুক ওয়াকিফে ভিড় করেন স্থানীয়সহ বিভিন্ন দেশের পর্যটক।
আরবের শতবছরের পুরনো প্রথা, যা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চল কাতারে। নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার সারতে দোহার উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু সুক ওয়াকিফ প্রাঙ্গনে ছোঁড়া হয় কামানের গোলা। আর তা ঘিরে উৎসবে মেতে উঠে শিশুসহ ছোট বড় সব বয়সীরা।
এ সময় উপস্থিত শিশুদের বিনামূল্যে হরেক রকমের খেলনাপাতি উপহার হিসেবে বিতরণ করে দেশটির সরকার। এছাড়াও কামানের গোলা ছোঁড়া দেখতে আসা উপস্থিত প্রতিদিন ৫০০ অধিক পরিবারগুলোর সবাইকে উপহার হিসেবে এক বোতল পানি, দই ও এক প্যাকেট খেজুর হাতে পৌঁছে দেয় সেচ্ছাসেবীরা।
নির্দিষ্ট সীমানা ঘেরা জায়গায় সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা পূর্বে কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস এক দল সেনা সদস্যরা নিয়ে আসেন কামান ও গোলা। চলতে থাকে অপেক্ষার পালা এর মাঝে গোলা ছুঁড়তে প্রস্তুতি নেয় সেনা সদস্যরা। এ সময় উৎসুক জনতার কারো হাতে মোবাইল ফোন বা কারো হাতের মূল্যবান ক্যামেরা মুখ করে থাকে কামানের দিকে। এ সময় আয়োজনটি স্থানীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
রমজান মাস জুড়ে এভাবে প্রতিদিন একবার সূর্যাস্তের আযান ঘোষণা করার জন্য কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়। একই নিয়মে কাতারের অন্যান্য স্থানগুলির মধ্যে কাতারা, লুসাইল বুলেভার্ড এবং সৌক ওয়াকরাতেও কামান ছোঁড়া দেখা যায়।