সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রকাশিত: সোমবার, জানুয়ারী ৯, ২০২৩
নাগরিক সংবাদ ডেস্কঃ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহসিকতা দেখাতে পারলেও অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। অর্থ পাচার বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে ফখরুল ইমাম এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্রান্তিলগ্ন পার করছে।
বাংলাদেশের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামের তিনটি কোম্পানিকে তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
৫টি ইসলামিক ব্যাংককে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ সুদে ১৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক ব্যাংক সুদে ঋণ নেয় না। ঋণ দেওয়ার কথা না, তারা ইসলামি ব্যাংক, তাদের নীতি আদর্শে সুদ নামক কোনো বস্তু নেই। গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে। এই টাকা সিস্টেম থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে বেরিয়ে গেছে।
ফখরুল ইমাম আরও বলেন, বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা দেখেছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যেসব দেশ হস্তক্ষেপ করেছে তার বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। এটা আমাদের ভালো লাগে। পাশাপাশি যখন দেখি এরকম একটি শক্তিশালী সরকারের প্রধান অর্থ পাচারের ব্যাপারে কিছুই করতে পারেন না তখন নিজেকে অসহায় মনে হয়। এই পর্যন্ত কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাংলাদেশের দুই বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে। কাজেই আশা করবো সরকার এ ব্যাপারে কঠিন হবে। সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক খাতের অনিয়মে কোনো দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয় না। ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর সামান্য ঋণের জন্য কৃষকদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে জেলখানায় নেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ করার পরও তার মুক্তি পেতে সময় লেগে যায়। অথচ এই কৃষক উৎপাদন করে, খাদ্য যোগায়। এটা সরকারকে ভাবতে হবে।